আত্নবিশ্বাস বাড়ানোর টিপস


 আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আত্নবিশ্বাসের গুরুত্ব অনেক। আত্নবিশ্বাস হলো নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস।

আত্নবিশ্বাসী মানুষকে সবাই পছন্দ করে। আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় কিভাবে আত্নবিশ্বাস বাড়ানো যায়। আত্নবিশ্বাসী হতে হলে আপনাকে নিজের জীবনে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।নার আত্নবিশ্বাস নির্ভর করে আপনার কর্মের উপর। আপনার চিন্তাভাবনার উপর।

মূলত ভয় মানুষের আত্নমর্যাদা ও আত্নবিশ্বাস কে বাড়তে দেয় না। তাই এমন কোনো কাজ করা যাবে না যেটাতে আপনার ভয় বাড়ে আর ভয় বাড়লে আপনার আত্নবিশ্বাসের ঘাটতি দেখা দিবে। 

আত্নবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ন টিপস নিচে দেওয়া হলো ঃ

১। মিথ্যা কথা পরিত্যাগ করা ।

        আত্নবিশ্বাসী হতে হলে আপনাকে অবশ্যই এবং অবশ্যই  সবসময় সত্যি কথা বরতে হবে। আপনার বলা কথািই আপনার ব্যক্তিত্যের প্রতিফলন। আপনি কি বলছেন সেটাই সেটাই আপনার ব্যক্তিত্ব কে বহিঃপ্রকাশ করে। আর আপনার ব্যক্তিত্ব ভালো থাকলে তবেই আপনি একজন আত্নবিশ্বাসি মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন। তাই আত্নবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য সবসময় সত্য কথা বলা অনেক গুরুত্বপূর্ন । মিথ্যা কথা বলা লোকজন কখোনোই আত্নবিশ্বাসী হতে পারেনা। মিথ্যাবধীদের কেউ বিশ্বাস করে না। আর একজন অবিশ্বস্ত লোক কখোনো আত্নবিশ্বাসী হতে পারেনা। সত্য কথা বলা আত্নবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য একান্ত গুরুত্বপূর্ন  একজন মিথ্যাবাধী কখোনোই আত্নবিশ্বাসী হতে পারে না, পারবে না। তাই সদা সত্য কথা বলুন, সত্যের পথে চলুন।

২। অন্যের সমালোচনা না করা।

        যখনি আপনি অন্য মানুষ কে নিয়ে সমালোচনা করবেন তখনি আপেনার অজান্তে একটা ভয় তৈরী হয়ে যাবে যাকে নিয়ে আপনি কথাগুলো বলছেনে সে যেন এই কথাগুরো না শুনতে পায় আর এই ভয়ই হতে পারে আপনার আত্নমর্যাদা আত্নসম্মান কমার একটি কারন। আর একজন ভালো ব্যাক্তিত্য সম্পন্ন লোক কখোনোই অন্যকে নিয়ে সমারোচনা করে না বরং অন্যের ভারো দিক নিয়ে মানুষের সাতে আলোচনা করতে পছন্দ করে। তাই সমালোচনা আর আলোচনার পার্থ্যক্য নিয়ে সচেতন হতে হবে।    আত্নমর্যাদা বাড়াতে এটা অনেক কার্যকর। 

৩। নিজের ভয়কে দূর করুন।

        কিভাবে দূর করবেন নিজের ভয় কে? আগে বাবুন আপনি কি কাজ করতে বয় পান। ভয় দূর করতে হলে আপনাকে এটা আগে জানতে হবে। আপনি কোথায় যেতে ভয় পান, কার সাথে কথা বলতে ভয় লাগে তার সাথে বেশী কথা বলুন। অর্থ্যাৎ আপনি যে কাজ করতে ভয় পান সেটাই বেশী করে করবেন। এতে আপনার ভয় কমে যাবে আর কোনো খারাপ কাজের সাথে জড়াবেন না । এতে আপনার ভয় বেড়ে যাবে। তাই সবসময় নিজের ভয়কে নিজে নিয়ন্ত্রন করবেন।

৪। নিজেকে জানুন, নিজেকে চিনুন।

        আপনি যেমন আপনি তেমনি সুন্দর। নিজেকে নিয়ে খুশী থাকুন। আমরা অনেকেই আত্নবিশ্বাসের অভাবে ভুগি কারন আমরা নিজেকে নিয়ে খুশী না।  নিজেকে নিয়ে খুশী থাকতে পারলে আত্নবিশ্বাস বেড়ে যাবে অনেক গুন। আপনি যখনি নিজেকে নিয়ে , নিজের অবস্থান কে নিয়ে খুশী থাকতে পারবেন তখনি আপনি কারো চোখে চোখ রেথখ কথা বলতে পারবেন। নচেৎ আপনি, সবসময় আত্নবিশ্বাসের অভাবে ভূগবেন। তাই নিজেকে নিয়ে খূশী থাকুন।

৫। নিজের ভুল শুধরে নিন।

        নিজের ভুল সম্পর্কে অবগত হন আর সেগুলোকে শুদ্রে নেয়ার চেষ্টা করুন। তাহলেই আপনি নিজের প্রশংসা শোনার জন্য তৈরী হবেন। আর সেটাই আত্নবিশ্বাসের প্রতিফলন। তাই আপনাকে আত্নবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য অবশ্যই নিজের ভুল শুদ্রাতে হবে। কোনো অনৈতিক কাজের সাথে নিজেকে জড়ানো যাবে না। নিজেকে রাখতে হবে স্বচ্ছ পানরি মতো তবেই আপনি হয়ে উঠতে পারবেন আত্নবিশ্বাসী।

যেকোনো কাজ আত্নবিশ্বাসের সাথে করলে সবসময় সুন্দর হয়। সবসময় সফলতা না আসলেও অনেক কিছু শেখা যায় যদি নিজের প্রতি নিজের বিশ্বাস রেখে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন। ভুল গুলো খুজতে পারবেন। তাই আত্নবিশ্বাসের গুরুত্ব অনেক। আত্নবিশ্বাসের সাথে কথা বললে আপনার কথায় যেমন সবাই মনোযোগ দেয় ঠিক তেমনি আত্নবিশ্বাসের প্রতিফলন পাবেন সব ক্ষেত্রে যদি হতে পারেন  একজন আত্নবিশ্বাসী ব্যক্তি। নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে এগিয়ে গেলে সফলতা আসার সম্ভবনা বেড়ে যায়।

Post a Comment

1 Comments

  1. Sundhor kore lekhati uposthapon korar jonno onk dhonnobadh.

    ReplyDelete