অনলাইনে ইনকাম করার মাধ্যম

 


আমরা সবাই চাই অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে। আসলে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অনেক উপায় আছে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার। আগেই বলে রাখি অলস হলে চলবে না। নিজেকে পরিশ্রমী করতে হবে। আর পরিশ্রম করলে আপনি অবশ্যই ফল পাবেন। তাই মনোযোগ দিয়ে পোষ্ট টি পড়ুন। 

তার আগে বকছু কথা বলি তারপর আসবো কিভাবে ইনকাম করবেন। আমাদের অনেকের ধারনা যে, অনলাইনে যে টাকা টা ইনকাম করা হয় সেটা হলো আমরা যে, ডাটা কিনে ব্যবহার করি এটা গুগল বা অন্যান্য কোম্পানী ডপয়ে থাকে সেখান তেকে সামান্য কিছু টাকা আপনি ইনকাম করতে পারেন। আসলে ব্যাপার টা একদমই এরকম না । 

অনলাইনের মূলত ইনকাম টা আসে এডস, স্পন্সর এসব থেকে। যেমন, টিভিতে এড দেখি আমরা সেরকম আমরা ইউটিউভ, ওয়েবসাইট, অ্যাপের মধ্যেও কিন্তু এডস দেখা যায় । আর সেখান থেকেই মূলত ইনকাম টা আসে । এটা হলো প্যাসিব ইনকাম । আর প্যাসিব ইনকাম হলো নিজের একটা সম্পত্তির মতো । আপনি যদি আপনার সম্পদতক ভালো ভাবে পরিচর্যাা করতে পারেন তাহলে আপনি এগুলোর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। প্যাসিভ ইনকাম ফ্রিল্যান্সিং হতে পারে এবং ফ্যিল্যান্সিং এর অনেক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়েও প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। যেমনঃ  ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, অ্যাপ ডেবেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং।

 আরো অনেক অনেক মাধ্যম আছে, যেমন- আপনি কারো কোনো কাজ বাসায় বসে করে দিলেন। সেটার বিনিময়ে আপনি একটা পারিশ্রমিক পেলেন এটাকে বলে  ফ্রিল্যান্সিং। এখন আপনি ভাবতে পারেন  আপনি কোথায় কাজ পাবেন, আপনার কি কাজ করতে হবে। অনেক প্রশ্নই আপনার মাথায় আসতে পারে । সব প্রশ্নেরই উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব । 

প্রথমে আসি প্যাসিব ইনকাম নিয়ে। আপনি কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে প্যাসিব ইনাকাম করবেন ?

প্যাসিব ইনকামটা হলো  নিজের প্রতিভা কে কাজে লাগিয়ে ভারো একটা আর্নিং পদ্ধত্ িফ্যিল্যান্সিং টাও তেমনি। কিন্তু তাছাড়া অনেক মাধ্যম আছে যেখানে নিজের প্রতিভার অতোটা গুরুত্ব থাকে না্ যেমন, ধরুন আপনাকে ভিডিও দেখলে তারা আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিবে। বা, আপনাকে তাদের এডস এ ক্লিক করতে বলবে। নির্দিষ্ট পরিমানের এডস এ ক্লিক করার পর নির্দিষ্ট পরিমানে কিছু টাকা আপনি পাবেন। আসলে আপনাকে যারা এই কাজ টা দেয় তারা আপনার পিছনে প্যাসিব ইনকাম টা আপনার মাধ্যমে করে নিচ্ছে । আপনি যে লাভটা কররেন। তার থেকে দ্বিগুন লাভ তারা করে নিচ্ছে। একটা কথা মাথায় রাখুন এই অনলাইনের ইনকাম যেখানের ইনকাম ই হোক না কেন কেউ আপনাকে কখোনো ফ্রিতে কিছু দিবে না। 

এবার আসি প্যাসিব ইনকাম করার কি কি মাধ্যম আছে?

ওয়েবসাইট বা ব্লগঃ  আপনি নিজের ওয়েবসাইট তৈরী করে ইনকাম করতে পারবেন। এটা একটা প্যাসিব ইনকাম। আপনি যদি লেখা ও রিসার্চ করতে পছন্দ করেন সেক্ষেত্রে আপনি ব্লগিং করতে পারেন। ব্লগ হলো কন্টেন্ট রাইটিং। আপনকে লিখতে হবে। তারপর আপনার ওয়েবসাইট এস,ই,ও করতে হবে। সব শেষে আপনাকে এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। ভালো মানের কন্টেন্ট থাকলে আপনি এডসেন্স পেয়ে যাবেন এবং সেখান থেকে আপনি ভালো পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন। 

গুগলের এডসেন্স ছাড়াও এখান থেকে ইনকাম করা সম্ভব । অনেক এডনেটওয়ার্ক সাইট বা, গুগর অলটারনেটিভ সাইট আচে যেখান থেকে এডকোড নিয়ে আপনার সাইটে বসিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। 

 আ্যাপ ডেবেলপমেন্টঃ আপনি যদি অ্যাপ বানাতে পারেন বা অ্যাপ বানানো শিখতে চান তাহলেও আপনি ভালো পরিমান টাকা এটার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আগেই বলেছি আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে। সহজে কোনো কিছুই আসবে না । আপনাকে অ্যাপ বানিয়ে সেখানে অ্যাডস বসাতে হবে। হতে পারে গুগলের এডস বা অন্য কোনো সাইটের এডস। অনেক অলটারনেটিভ সাইট আছে যেখান থেকে আপনি আপনার অ্যাপসে এডস পাভলিশ করতে পারবেন। তবে, গুগলের  এডমোভ বেষ্ট। 

ইউটিউভঃ আপনার যদি ভিডিও এডিটিং এর ওপর দক্ষতা  থাকে বা, আপনি যদি ভালো কোয়ালিটির ভিডিও ক্লিপ ধারন করতে পারেন বা, যদি ভালো ভিডিও কন্টেন্ট বানাতে পারেন।তাহলে আপনি ইউটিউভের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এটা একটা প্যাসিব ইনকাম। ইউটিউভ তেকে ইনকাম করতে আপনার চ্যানেল থাকতে হবে। এবং আপনার চ্যানেলে 1,000 সাবসক্রাইভার ও 4,000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম আনতে হবে এক বছরের মধ্যে তারপর আপনাকে এডসেন্সের জন্য আবেদন করতে হবে। এডসেন্স পেলে গুগলের এড শো কেরবে । আপনি ইউটিউভের পার্টনার প্রোগ্রামে এড হবেন । আব আপনি সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। 

অ্যাপ, ওয়েবসাইট, ইউটিউভ তিনটি প্যাসিভ ইনকামের মাধ্যম শেয়ার করলাম। আরো বিস্তারিত জানতে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে। 

এবার আসি ফ্রিল্যান্সিং ও অন্যান্য মাধ্যম নিয়েঃ-

ফ্রিল্যান্সিংঃ ফ্রিলান্সিং হলো অনেক বড় একটা মাধ্যম যেখান থেকে লাখ ফ্রিল্যান্সার রা ইনকাম করছে তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে। মূলত সার্ভিস বিক্রি করা। মনে করুন আপনি ভালো ণলাগো বানাতে পারেন বা আপনি ভালো এস,ই,ও এর কাজ জানেন। আপনি এটার মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। আপনার এই সার্ভিস গুলো অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। আর সেটাই ফ্যিল্যান্সিং। ফ্যিল্যান্সিং করার জন্য অনেক সেক্টর আছে। যেমনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং এরকম অনেক আছে । এগুলোর অনেক সাব কেটাগরী আছে । আপনাকে আপনার পছন্দ সই কেটাগরীর উপর কাজ করতে হবে। 

অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং বা, সিপিএ মার্কেটিংঃ বর্ত মানে অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং এবং সিপিএ মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অনেক বড় বড় কোম্পানী যেমনঃ এমাজন, আলিবাবা, দারাজ এরকম সাইটের প্রডাক্ট বিক্রি করা। মনে করুন আপনি এটা 100 টাকার প্রডাক্ট বিক্রি করলেন। কোম্পানী আপনাকে 20% দিবে। বিক্রি করতে পারলে আপনি 20 টাকা পাবেন না হলে পাবেন না। ব্যাপার টা এরকম। এই ইনকাম টা ডিপেন্ড করে আপনার সেল এর ওপর। তাছাড়া, অনেক সাইট আছে যেখান থেকে আপনি লিড , ক্লিক, ডাউনলোপ এর মাধ্যমেও এরকম ইনকাম করতে পারবেন। 

এই ছিল অনলাইন ইনকামের ধারনা। আপনারা চাইলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আমাদের সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

0 Comments